ঢাকা ১১:৫২ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৭ মে ২০২৪, ৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
উপজেলা পর্যায়ে সরকারি বিদ্যমান সেবা বিষয়ে ওরিয়েন্টেশন অনুষ্ঠিত মদনে প্রাণিসম্পদের উদ্যোগে মোরগ ও ছাগলের খাদ্য বিতরণ ইটনায় সরকারি বিদ্যমান সেবা বিষয়ে অবহিতকরণ সভা অনুষ্ঠিত মদনে সংবাদ প্রকাশের পর স্কুল কর্তৃপক্ষের ঘুম ভাঙ্গল বিদ্যালয় প্রাঙ্গন দখল করে ঘর নির্মাণ করছেন শিক্ষক রাজধানীতে পার্বত্য জেলার সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যসমৃদ্ধ বিপনী বিতান উদ্বোধন করেন: পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী সীমান্ত সড়ক পশ্চাদপদ পার্বত্য অঞ্চলকে উন্নয়নের স্রোতধারায় একীভূত করেছে মদন উপজেলা ছাত্র কল্যাণ পরিষদের সভাপতি সায়েম সাধারণ সম্পাদক আরিফ মদনে ফের বয়রাহালা ব্রীজের এপ্রোচ দখল করে ঘর নির্মাণ মদনে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে কৃষককে হত্যার চেষ্টা

হজে অব্যবস্থাপনার জন্য সরকার দায়ী : হাব

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১১:১৯:০৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৭ অগাস্ট ২০১৭
  • ৩৭০ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ কথা রাখলেন না ধর্মমন্ত্রী। ‘কাউকে রেখে হজে যাব না’-এমন ঘোষণার পরও অনেক হজযাত্রীর হজে যাওয়া নিয়ে অনিশ্চয়তার মধ্যেই গত শনিবার সন্ধ্যায় সৌদি আরব পাড়ি জমালেন ধর্মমন্ত্রী অধ্যক্ষ মতিউর রহমান। অন্যদিকে এ বছর হজ কার্যক্রমে চরম অব্যবস্থাপনার জন্য সরকারকে দায়ী করেছে বেসরকারি এজেন্সি মালিকদের সংগঠন হাব। চলতি বছর হজ কার্যক্রমে স্মরণকালের মধ্যে সবচেয়ে বেশি অব্যবস্থাপনা হয়েছে। প্রাক-নিবন্ধন থেকে শুরু করে প্রতিটি পদে অনিয়ম আর অব্যবস্থাপনা দেখা দিয়েছে। একের পর এক ফ্লাইট বাতিলে চলতি বছর হজের শিডিউল বিপর্যয় ঘটে। এর মধ্যে গত ১০ আগস্ট বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আলেমদের এক কর্মশালায় ধর্মমন্ত্রী ঘোষণা দেন-একজন হজযাত্রীকে বাকি রেখেও তিনি হজে যাবেন না। কিন্তু এরপরও ফ্লাইট বিপর্যয় অব্যাহত থাকে। সর্বশেষ ভিসা থাকার পরও এজেন্সির প্রতারণায় বিমানের টিকেট না থাকায় হজে যাওয়া নিয়ে অনিশ্চতায় থাকা হজযাত্রীরা গত শনিবার দুুপুরে আশকোনা হজ ক্যাম্পে বিক্ষোভ করেন। তারা জানান, প্রায় তিনশ’ হজযাত্রীর টিকেট দেয়নি সাতটি এজেন্সি। অথচ ওইদিন সন্ধ্যা ৬টায় বাংলাদেশ বিমানের বিজি-৯০৭৯ ফাইটে ১৪ সদস্যের একটি দল ধর্মমন্ত্রী অধ্যক্ষ মতিউর রহমানের নেতৃত্বে হজে যায়। প্রতারণার শিকার অনেক হজযাত্রীর অভিযোগ, হজ ক্যাম্পে হজযাত্রীরা অনিশ্চয়তার মধ্যে থাকলেও ধর্মমন্ত্রী কোনো খবরও নিতে আসেননি। হজ অব্যবস্থাপনার জন্য সরকারকে দুষছে হাব : চলতি বছর হজে চরম অব্যবস্থাপনার জন্য ধর্ম মন্ত্রণালয় তথা সরকারকে দায়ী করেছে বেসরকারি হজ এজেন্সি মালিকদের সংগঠন হাব। গতকাল আশকোনায় আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে হাবের মহাসচিব শাহাদাত হোসাইন তসলিম হজ অব্যবস্থানার জন্য ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়, সৌদি আরব ও হজ সংশ্লিষ্ট ব্যাংককে দায়ী করে বলেন, হজ ফ্লাইট বাতিল হওয়ার জন্য অনেকেই হাবকে দায়ী করেছিলেন। কিন্তু হজ ফ্লাইট বাতিলের জন্য ছয়টি কারণ রয়েছে। কারণগুলো হল-ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয় কর্তৃক জুলাইয়ের প্রথম সপ্তাহে মোয়াল্লেম ফি প্রদান করা, সৌদি সরকার কর্তৃক আকস্মিকভাবে দুই হাজার সৌদি রিয়াল চার্জ ধার্য করা, শুরু থেকেই ই-ভিসা প্রিন্টিংয়ের জটিলতা, ৯১ হজ এজেন্সির সময় মতো মোয়াল্লেম না পাওয়া, মদিনায় আট দিনের থাকার বিধান মানার কারণে ফ্লাইটের তারিখ পছন্দের বাধ্যবাধকতা ও শুরুর দিকে বিমান ভাড়া তিন হাজার টাকা বৃদ্ধি। হাব মহাসচিব বলেন, প্রতিবছর মোয়াল্লেম ফি ধর্ম মন্ত্রণালয় গ্রহণ করে সৌদি আরবে পাঠায়। কিন্তু এ বছর এজেন্সিকে আইবিএনের মাধ্যমে পাঠাতে বলা হয়। বাড়ি ভাড়ার শর্ত হিসেবে আইবিএন অ্যাকাউন্ট করা এবং মোয়াল্লেম ফি স্থানান্তর করার শর্ত দেওয়া হয়। কিন্তু মন্ত্রণালয় এজেন্সির কাছ থেকে ২৪ ফেব্রুয়ারি মোয়াল্লেম ফি নেয় এবং সৌদিতে ৩০ জুনের মধ্যে বাড়ি ভাড়া করতে বলে। ৩০ জুনের মধ্যে বাড়ি ভাড়া করতে হলে ১৫ মের মধ্যে মোয়াল্লেম ফির টাকা ফেরত দিতে হতো। কিন্তু ধর্ম মন্ত্রণালয় জুলাই মাসে এই টাকা ফেরত দেয়। এতে বাড়ি ভাড়ায় দেরি হয়। তিনি বলেন, বাড়ি ভাড়ার প্রতিকূলতা কাটিয়ে এজেন্সিগুলো যখন হজযাত্রী পাঠাতে ভিসা সংগ্রহে ব্যস্ত, সে সময় ২০১৫ ও ২০১৬ সালের হজযাত্রীদের জন্য দুই হাজার রিয়াল অতিরিক্ত চার্জ আরোপ, ই-ভিসা প্রিন্টিং জটিলতা এবং ৯১টি এজেন্সি সময় মতো মোয়াল্লেম ফি না পাওয়ায় আকস্মিক বিমানের ফ্লাইটে যাত্রী সঙ্কট দেখা দেয়। এতে হজ ফ্লাইট বাতিল হয়। অন্যদিকে প্রতারণা কমাতে হজ এজেন্সির সংখ্যা কমানোর সুপারিশ সংসদীয় কমিটিতে উত্থাপন করা হবে বলে জানিয়েছেন ধর্ম মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির সভাপতি বজলুল হক হারুন। এছাড়া হজ নীতিমালার আমূল পরিবর্তন করা হবে বলেও জানান তিনি। গতকাল আশকোনায় হজ ক্যাম্পে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, হজযাত্রীদের সঙ্গে কিছুসংখ্যক এজেন্সি ও মধ্যস্বত্বভোগীর প্রতারণার অভিযোগ পাওয়া গেছে। আমরা তাদের বিরুদ্ধে জিডি করেছি। পরে এটি মামলায় রূপ নেবে। তিনি বলেন, আগামীতে ই-হজ ব্যবস্থাপনাকে আরও ঢেলে সাজানো হবে। যাতে মধ্যস্বত্বভোগীরা ঢুকতে না পারে। তিনি বলেন, সরকারি কোটার হজযাত্রীদের কোনো অভিযোগ নেই। অথচ এজেন্সির অপপ্রচারের কারণে সরকারি কোটায় হজযাত্রীর সংখ্যা বেশি হয় না। আগামীতে সরকারি কোটায় হজযাত্রী বাড়াতে ব্যাপক প্রচারণা চালানোর উদ্যোগ নেওয়া হবে বলেও তিনি উল্লেখ করেন। হারুন বলেন, সৌদি আরবের সঙ্গে এ দেশের ভ্রাতৃত্বপূর্ণ সম্পর্কের কারণে শেষমুহূর্তে বিমানের অতিরিক্ত ফ্লাইটের অনুমোদন পাওয়া গেছে। এতে হজযাত্রী পরিবহন নিয়ে আর কোনো সঙ্কট নেই।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

উপজেলা পর্যায়ে সরকারি বিদ্যমান সেবা বিষয়ে ওরিয়েন্টেশন অনুষ্ঠিত

হজে অব্যবস্থাপনার জন্য সরকার দায়ী : হাব

আপডেট টাইম : ১১:১৯:০৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৭ অগাস্ট ২০১৭

হাওর বার্তা ডেস্কঃ কথা রাখলেন না ধর্মমন্ত্রী। ‘কাউকে রেখে হজে যাব না’-এমন ঘোষণার পরও অনেক হজযাত্রীর হজে যাওয়া নিয়ে অনিশ্চয়তার মধ্যেই গত শনিবার সন্ধ্যায় সৌদি আরব পাড়ি জমালেন ধর্মমন্ত্রী অধ্যক্ষ মতিউর রহমান। অন্যদিকে এ বছর হজ কার্যক্রমে চরম অব্যবস্থাপনার জন্য সরকারকে দায়ী করেছে বেসরকারি এজেন্সি মালিকদের সংগঠন হাব। চলতি বছর হজ কার্যক্রমে স্মরণকালের মধ্যে সবচেয়ে বেশি অব্যবস্থাপনা হয়েছে। প্রাক-নিবন্ধন থেকে শুরু করে প্রতিটি পদে অনিয়ম আর অব্যবস্থাপনা দেখা দিয়েছে। একের পর এক ফ্লাইট বাতিলে চলতি বছর হজের শিডিউল বিপর্যয় ঘটে। এর মধ্যে গত ১০ আগস্ট বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আলেমদের এক কর্মশালায় ধর্মমন্ত্রী ঘোষণা দেন-একজন হজযাত্রীকে বাকি রেখেও তিনি হজে যাবেন না। কিন্তু এরপরও ফ্লাইট বিপর্যয় অব্যাহত থাকে। সর্বশেষ ভিসা থাকার পরও এজেন্সির প্রতারণায় বিমানের টিকেট না থাকায় হজে যাওয়া নিয়ে অনিশ্চতায় থাকা হজযাত্রীরা গত শনিবার দুুপুরে আশকোনা হজ ক্যাম্পে বিক্ষোভ করেন। তারা জানান, প্রায় তিনশ’ হজযাত্রীর টিকেট দেয়নি সাতটি এজেন্সি। অথচ ওইদিন সন্ধ্যা ৬টায় বাংলাদেশ বিমানের বিজি-৯০৭৯ ফাইটে ১৪ সদস্যের একটি দল ধর্মমন্ত্রী অধ্যক্ষ মতিউর রহমানের নেতৃত্বে হজে যায়। প্রতারণার শিকার অনেক হজযাত্রীর অভিযোগ, হজ ক্যাম্পে হজযাত্রীরা অনিশ্চয়তার মধ্যে থাকলেও ধর্মমন্ত্রী কোনো খবরও নিতে আসেননি। হজ অব্যবস্থাপনার জন্য সরকারকে দুষছে হাব : চলতি বছর হজে চরম অব্যবস্থাপনার জন্য ধর্ম মন্ত্রণালয় তথা সরকারকে দায়ী করেছে বেসরকারি হজ এজেন্সি মালিকদের সংগঠন হাব। গতকাল আশকোনায় আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে হাবের মহাসচিব শাহাদাত হোসাইন তসলিম হজ অব্যবস্থানার জন্য ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়, সৌদি আরব ও হজ সংশ্লিষ্ট ব্যাংককে দায়ী করে বলেন, হজ ফ্লাইট বাতিল হওয়ার জন্য অনেকেই হাবকে দায়ী করেছিলেন। কিন্তু হজ ফ্লাইট বাতিলের জন্য ছয়টি কারণ রয়েছে। কারণগুলো হল-ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয় কর্তৃক জুলাইয়ের প্রথম সপ্তাহে মোয়াল্লেম ফি প্রদান করা, সৌদি সরকার কর্তৃক আকস্মিকভাবে দুই হাজার সৌদি রিয়াল চার্জ ধার্য করা, শুরু থেকেই ই-ভিসা প্রিন্টিংয়ের জটিলতা, ৯১ হজ এজেন্সির সময় মতো মোয়াল্লেম না পাওয়া, মদিনায় আট দিনের থাকার বিধান মানার কারণে ফ্লাইটের তারিখ পছন্দের বাধ্যবাধকতা ও শুরুর দিকে বিমান ভাড়া তিন হাজার টাকা বৃদ্ধি। হাব মহাসচিব বলেন, প্রতিবছর মোয়াল্লেম ফি ধর্ম মন্ত্রণালয় গ্রহণ করে সৌদি আরবে পাঠায়। কিন্তু এ বছর এজেন্সিকে আইবিএনের মাধ্যমে পাঠাতে বলা হয়। বাড়ি ভাড়ার শর্ত হিসেবে আইবিএন অ্যাকাউন্ট করা এবং মোয়াল্লেম ফি স্থানান্তর করার শর্ত দেওয়া হয়। কিন্তু মন্ত্রণালয় এজেন্সির কাছ থেকে ২৪ ফেব্রুয়ারি মোয়াল্লেম ফি নেয় এবং সৌদিতে ৩০ জুনের মধ্যে বাড়ি ভাড়া করতে বলে। ৩০ জুনের মধ্যে বাড়ি ভাড়া করতে হলে ১৫ মের মধ্যে মোয়াল্লেম ফির টাকা ফেরত দিতে হতো। কিন্তু ধর্ম মন্ত্রণালয় জুলাই মাসে এই টাকা ফেরত দেয়। এতে বাড়ি ভাড়ায় দেরি হয়। তিনি বলেন, বাড়ি ভাড়ার প্রতিকূলতা কাটিয়ে এজেন্সিগুলো যখন হজযাত্রী পাঠাতে ভিসা সংগ্রহে ব্যস্ত, সে সময় ২০১৫ ও ২০১৬ সালের হজযাত্রীদের জন্য দুই হাজার রিয়াল অতিরিক্ত চার্জ আরোপ, ই-ভিসা প্রিন্টিং জটিলতা এবং ৯১টি এজেন্সি সময় মতো মোয়াল্লেম ফি না পাওয়ায় আকস্মিক বিমানের ফ্লাইটে যাত্রী সঙ্কট দেখা দেয়। এতে হজ ফ্লাইট বাতিল হয়। অন্যদিকে প্রতারণা কমাতে হজ এজেন্সির সংখ্যা কমানোর সুপারিশ সংসদীয় কমিটিতে উত্থাপন করা হবে বলে জানিয়েছেন ধর্ম মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির সভাপতি বজলুল হক হারুন। এছাড়া হজ নীতিমালার আমূল পরিবর্তন করা হবে বলেও জানান তিনি। গতকাল আশকোনায় হজ ক্যাম্পে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, হজযাত্রীদের সঙ্গে কিছুসংখ্যক এজেন্সি ও মধ্যস্বত্বভোগীর প্রতারণার অভিযোগ পাওয়া গেছে। আমরা তাদের বিরুদ্ধে জিডি করেছি। পরে এটি মামলায় রূপ নেবে। তিনি বলেন, আগামীতে ই-হজ ব্যবস্থাপনাকে আরও ঢেলে সাজানো হবে। যাতে মধ্যস্বত্বভোগীরা ঢুকতে না পারে। তিনি বলেন, সরকারি কোটার হজযাত্রীদের কোনো অভিযোগ নেই। অথচ এজেন্সির অপপ্রচারের কারণে সরকারি কোটায় হজযাত্রীর সংখ্যা বেশি হয় না। আগামীতে সরকারি কোটায় হজযাত্রী বাড়াতে ব্যাপক প্রচারণা চালানোর উদ্যোগ নেওয়া হবে বলেও তিনি উল্লেখ করেন। হারুন বলেন, সৌদি আরবের সঙ্গে এ দেশের ভ্রাতৃত্বপূর্ণ সম্পর্কের কারণে শেষমুহূর্তে বিমানের অতিরিক্ত ফ্লাইটের অনুমোদন পাওয়া গেছে। এতে হজযাত্রী পরিবহন নিয়ে আর কোনো সঙ্কট নেই।